বাইক রক্ষণাবেক্ষণের টুকিটাকি
2020 Jan 19 10:37:00
বাইকের কিছু রেগুলার
মেইনটেন্যান্স টিপস
১) মাসে একবার ক্লাচ কেবলে এবং
অ্যাক্সিলারেটর কেবলে লুব
দিন, ম্যানল বা WD-40 ব্যবহার
করতে পারেন। ইঞ্জিন অয়েল
দিবেন না, তাহলে স্টিকি হয়ে
যাবে কয়েকদিন পরেই, আরও বেশি
জ্যাম হয়ে গেছে বলে মনে হবে।
২) টায়ার পরিবর্তন করলে সামনে
পিছনে একই প্যাটার্নের টায়ার
ব্যবহার করুন, এতে
কন্ট্রোলিং ক্ষমতা, ব্রেকিং
এবং কর্নারিং এর সময়ে বাইকের
পারফরম্যান্স অনেক ভালো
পাবেন।
৩) নন-ওরিং চেইন হলে সপ্তাহে
একবার লুব দিন, কিংবা প্রতি
৪০০-৫০০ কিলো রাইড করলেই লুব
দিন। লুব দেয়ার আগে কেরোসিন
দিয়ে চেইন পরিষ্কার করে
নিবেন। ওরিং চেইন হলে আরেকটু
বেশি চালাতে পারবেন প্রতিবার
ক্লিন করার আগে। রেগুলার
চেইন চেক করবেন যেন ড্রাই না
থাকে। আর চেইনে ইঞ্জিন অয়েল
না দিয়ে ডেডিকেটেড চেইন লুব
(যেমন মটুল চেইন লুব) কিংবা
১৪০ গ্রেডের গিয়ার অয়েল
দিবেন। ম্যানল বা WD-40 খুব
দ্রুত ড্রাই হয়ে যায়। আর
ভুলেও ওরিং চেইনে ডিজেল বা
অকটেন দিবেন না, তাহলে ওরিং
চেইনের লিঙ্কগুলোর মাঝে যে
রাবার রিং থাকে সেগুলো নষ্ট
হয়ে যাবে। সপ্তাহে একবার
চেইন লুজ কিনা সেটা চেক করে
নেবেন।
৪) রেগুলার চাকার এয়ার
প্রেশার চেক করুন। সামনে
২৫-৩০ পিছনে ৩০-৩৫ পিএসআই এর
মাঝেই রাখবেন।
৫) প্রতি ১০০০ কিলো পর পর
এয়ারফিল্টার ক্লিন করে
নেবেন
৬) রেগুলার ইঞ্জিন অয়েল লেভেল
চেক করবেন, কমে গেলে টপ আপ করে
দেবেন
৭) মাঝে মাঝে ব্রেক প্যাড চেক
করবেন। যদি দেখেন প্যাড অনেক
পাতলা হয়ে গেছে, ২
মিলিমিটারেরও কম, তাহলে
পরিবর্তন করে ফেলাটা
বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৮) মাঝে মাঝে টায়ার এর দুই
সাইড চেক করে দেখবেন কোন
টিউমার দেখা যায় কিনা, দেখা
গেলে সাথে সাথেই টায়ার
পরিবর্তন করা দরকার।
৯) দিনের শুরুতে মোটরসাইকেল
স্টার্ট দিয়ে সাথে সাথে চলা
শুরু করবেন না বা থ্রটল
ঘুরাবেন না। মিনিমাম এক
মিনিট অপেক্ষা করুন, এই সময়ের
মাঝে ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনের
সব জায়গায় পৌঁছে যাবে। এই
সামান্য অভ্যাসটুকু আপনার
বাইকের ইঞ্জিনের স্থায়িত্ব
বাড়িয়ে দেবে বহুগুন।
১০) ১০০০০ কিমি পরপর, কিংবা
ইঞ্জিনের সাউন্ডে ক্লিক
ক্লিক আওয়াজ পেলে ইঞ্জিনের
ভালভ ক্লিয়ারেন্স
অ্যাডজাস্ট করে নেবেন ( অনেকে
যেটাকে ট্যাপেট
অ্যাডজাস্টমেন্ট বলে)