অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা
অনেকেই পেশাগত প্রয়োজনে, আবার কেউ শখ করে মোটরসাইকেল চালান। কারো কারো সারাদিনই দীর্ঘ সময় ধরে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। কিন্তু অবৈজ্ঞানিক উপায়ে মোটরসাইকেল চালালে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ও মেরুদণ্ড সমস্যা হতে পারে, এমনকি কর্মক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারেন। কাজেই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
হতে হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ : মোটরসাইকেল কেনার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন, এর সবকিছু আপনার শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বসার আসন, হ্যান্ডেলবার, পাদানি শরীরের সঙ্গে মানানসই। আপনার উচ্চতা ও শারীরিক গড়ন বিবেচনায় নিয়ে মোটরসাইকেলটি মানানসই ও আরামদায়ক কি না, দেখে নিন।
বসার আদর্শ অবস্থান : মোটরসাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই চালককে পিঠ সোজা রেখে বসতে হবে। কাঁধ দুটো পেছনের দিকে কিছুটা বাঁকানো এবং কোমরের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
ঘাড় এবং কাঁধ সামনে কুঁজো হয়ে থাকলে অস্বস্তি ও ব্যথা হয়।
পায়ের অবস্থান : গোড়ালি কোমর বরাবর অবস্থান করবে। অর্থাৎ দুই পা ফাঁক এবং ভাঁজ অবস্থায় সামনের দিকে থাকবে। পায়ের পাতার জন্য আলাদাভাবে সামনে-পেছনে কয়েকটি পাদানি থাকবে, যাতে ভ্রমণের সময় প্রয়োজনমতো পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করা যায়। এ অবস্থান শরীরকে স্থির রাখতে সহায়তা করবে।
সঠিকভাবে মোটরসাইকেল চালান : সঠিক দেহভঙ্গি আপনার ভ্রমণকে নিরাপদ এবং আনন্দদায়ক করবে। তাই ধীরেসুস্থে মোটরসাইকেল চালাবেন। অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করবেন।
পিঠের অবস্থান : কোমরে বেল্ট ব্যবহার করুন এবং পিঠের ওপরের অংশ পেছনের দিকে একটু বাঁকা রাখুন।
সঠিক দেহভঙ্গির অনুশীলন : বাইকে বসা অবস্থায় বা তার পাশে হাঁটা অবস্থায় সঠিক দেহভঙ্গির অনুশীলন করে নিন। লক্ষ করুন, কুঁজো হয়ে বসছেন কি না, কোমরের অংশে চাপ অনুভূত হচ্ছে কি না।
[ভোরের কাগজ]