অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা
হঠাৎ কখনো বাইক স্টার্ট নিতে না চাইলে ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আপনি যদি এমন সমস্যায় পড়ে যান, তখন বিচলিত না হয়ে প্রথমে স্টার্ট না নেয়ার কারনটি চিহ্নিত করুন।
স্টার্ট না নেয়ার সম্ভাব্য কারণঃ-
১. পেট্রোল না থাকা।
২. ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
৩. ইঞ্জিনে ঠিকমত ফুয়েল না যাওয়া।
৪. চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিন খুব হিট হয়ে যাওয়া।
৫. ফুয়েল ট্যাঙ্ক এয়ার টাইট হয়ে যাওয়া। ফলে ফুয়েলের নিচে নামতে না পারা।
৬. স্পার্ক প্লাগে ময়লা জমা।
৭. ইঞ্জিন ওয়েলের কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যাওয়া।
৮. ঝাঁকিতে তার খুলে যাওয়া।
৯. কার্বুরেটরের সমস্যা ।
১ থেকে ৬ পর্যন্ত সমস্যার সলুউশান আপনি নিজেই করতে পারবেন । ৬ নং এর জন্যে যা করবেন:
সাধারণত ময়লা জমলে এয়ার পাসের ছোট ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। অথবা বৃষ্টির পানিতে ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। তখন ফুয়েল ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে আবার বন্ধ করুন। কাজ করবে আশা করি। আর গিয়ার ঠিক সময় মত ফেলবেন। যাতে যতটা সম্ভব ইঞ্জিনে প্রেসার কম পড়ে। উঁচু রাস্তা বা ব্রিজে ওঠার সময় লো গিয়ারে চালান। থামা অবস্থা থেকে দ্রুত স্পিড না তুলে ধীরে ধীরে স্পিড তলুন। একটানা চালানোর ক্ষেত্রে দেড় থেকে ২ঘন্টার মাথায় ১৫-২০ মিনিটের যাত্রা বিরতি দিন।
নতুন বাইক হলে প্রতি ১০০০কিমি পরপর ইঞ্জিন ওয়েল চেন্জ করুন। ভাল ওয়েল রিফিল করলে ১০০০-১২০০কিমি এর মধ্যে। আর খোলা ওয়েল হলে ৫০০ কিমি পর পর। তবে বাইকে যদি সব সময় পিলিওন থাকে বা একটানা ৬০০+ রান করান, তবে ১০০০কিমি হলেই চেন্জ করা উচিত। নয়ত, মাইলেজ কমে যাবে, ইঞ্জিন হিট হবে বেশি, হঠাৎ হঠাৎ স্টার্ট থেমে যাবে, বা গাড়ি চালিয়ে শান্তি পাবেন না, ইঞ্জিনে সাইন্ড হবে, কালো ধোয়া বের হবে। তবে ১০০ সিসির নিচের বাইকে দেরিতে ওয়েল চেন্জ করা যায়। কারন ঐ বাইকগুলো হালকা। ওসবে কেউ লঙ্গ ড্রাইভও করে না।
এখন বলব তাদের বাইকের কথা, যারা ৬ মাসের বেশি বাইক ফেলে রেখেছেন।
১. যতটা সম্ভব ধুলা পরিষ্কার করুন।
২. পুরাতন ফুয়েল, ট্যাঙ্কে থাকলে বের করে নিন।
৩. পুরান ব্যাটারী রিচার্জ করে নিন।
৪. ইঞ্জিন ওয়েল নতুন করে রিফিল করুন।
৫. স্পার্ক প্লাগের ময়লা পরিষ্কার করুন। পারলে নতুন প্লাগ লাগান।
৬. সেলফ না দিয়ে কিকের মাধ্যমে স্টার্ট দিন। ১০ মিনিট ইঞ্জিন চালু রেখে গরম করুন। তারপর রান করান।
যদি স্টার্ট না নেয় তখন দেখতে হবে:
১. ব্যাটারীর প্লাস মাইনাস কানেকশান ঠিক মত লাগিয়েছেন কিনা ।
২. স্টার্টার পিন বা স্টার্টার গিয়ারের সমস্যা আছে কিনা?
৩. স্পার্ক প্লাগে স্পার্ক হচ্ছে কিনা ?
৪. ফুয়েল প্লাগ জ্যাম হয়ে গেছে কিনা ?
৫. ইঞ্জিনের প্রেসার সুইটেবল অবস্থায় আছে কিনা?
এ রকম শত শত কারন থাকতে পারে স্টার্ট না নেবার পেছনে। তবে না ঘাবড়িয়ে অভিজ্ঞ কোন টেকনিশিয়ান দেখানোই ভালো।
***সাথে প্রয়োজনীয় বেসিক টুলস রাখুন সবসময়।
[অনলাইন থেকে সংগৃহীত]