বৃষ্টির সময় নিরাপদে মোটরসাইকেল চালানোর ও যত্ন নেবার ৮ টি দুর্দান্ত টিপস

শপিং কার্ট

অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা

সর্বমোটঃ

বাইক বা প্রডাক্টস খুঁজুন

প্রডাক্ট ক্যাটাগরি

বৃষ্টির সময় নিরাপদে মোটরসাইকেল চালানোর ও যত্ন নেবার ৮ টি দুর্দান্ত টিপস

2020 Jul 23 04:39:00
চলে এসেছে বর্ষাকাল । প্রতিদিনই প্রায় এখন অল্প স্বল্প বৃষ্টি হচ্ছে, আমরা যারা প্রতিদিনের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছি আশা করি সবাই জানি বৃষ্টির মাঝে মোটরসাইকেল ঠিক ভাবে চালানো কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপদের বিষয় । বৃষ্টি হলেই কি আর না হলেই কি ? আমাদের জীবনযাত্রা এবং কাজের চাপ তো আর বৃষ্টির জন্য থেমে থাকবেনা । সবকিছু উপেক্ষা করেই আমাদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে হবে ।মোটরসাইকেল চালানোর ও যত্ন নেবার ৮ টি দুর্দান্ত টিপস নিরাপদে বৃষ্টির মাঝে মোটরসাইকেল চালনা না করতে পারলে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক সব দুর্ঘটনা । পিচ্ছিল রাস্তা, বৃষ্টির জন্য ঝাপসা দেখতে পাওয়া , ব্রেক ঠিকভাবে কাজ না করা , টায়ার স্লিপ সহ অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বৃষ্টির মাঝে মোটরসাইকেল চালনা করতে গেলে । একটু এদিক সেদিক হলেই জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েকগুণ । এই বর্ষাকালে কিভাবে আপনি নিরাপদে বাইক চালনা করতে পারেন এবং কিভাবে আপনার বাইকের যত্ন নিতে পারেন তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা । বর্ষাকালে মোটরসাইকেল চালকদের জন্য ৮ টি নিরাপদ টিপসঃ ১। জুতার জন্য রেইন কভার ব্যবহার করাঃ বৃষ্টির সময় পানিতে ভিজে আপনার জুতা পিচ্ছিল হয়ে থাকতে পারে এবং জুতা চামড়ার হলেতো জুতার অবস্থা ১২ টা বেজে যাবে । জুতার তলানি পিচ্ছিল হবার ফলে ব্রেক চাপার সময় কিংবা গিয়ার পরিবর্তনের সময় পা পিছলে অনেক সময় অনেককেই আমি ব্যাথা পেতে দেখেছি । তাই আপনার উচিৎ রেইন কভার ব্যবহার করা । আপনি যেকোন বাইক এক্সেসরিজ এর দোকান থেকেই এগুলো কিনতে পারবেন । এছাড়াও আজকাল অনলাইনে এই ধরণের বাইক রাইডিং গিয়ার সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে । তাই যত দ্রুত সম্ভব আপনার জন্য একজোড়া রেইন কভার কিনে নিন এবং সম্ভাব্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচুন । ২। রেইন জ্যাকেট মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্যঃ মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য স্পেশাল ভাবে তৈরি ওয়াটারপ্রুফ রেইন জ্যাকেট কিনে নিতে পারেন । এটি আপনার পুরো শরীর কে ভিজে যাবার হাত থেকে রক্ষা করবে । ৩। বডি আর্মোর জ্যাকেট অধিক নিরাপত্তার জন্যঃ মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে বাজারে অনেক ধরণের এবং ডিজাইনের মজবুত বডি আর্মোর জ্যাকেট পাওয়া যায় । যার মাঝে থাকে মজবুত আঘাত প্রতিরোধী ব্যবস্থা এবং ফুল জিপার ফ্রন্ট ক্লোজ সিস্টেম । থাকে বেল্ট যা আপনি সহজেই আপনার মত এডজাস্ট করে নিতে পারবেন । এই ধরণের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় বুকে কাঁধে আধাত লাগা থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যায় । ৪। ভিসর ফগিং যুক্ত হেলমেট এর ব্যবহার করাঃ প্রতিদিনের বাইক চালনার ক্ষেত্রে আপনাকে যেমন হেলমেট অত্যাবশ্যকীয় ভাবে ব্যহার করতে হবে ঠিক তেমন করে বৃষ্টির জন্য স্পেশাল একটি হেলমেট কিনে নেয়া আপনার প্রয়োজন যার মাঝে ভিসর ফগিং সুবিধা আছে । অর্থাৎ বৃষ্টি প্রতিরোধী এবং ভেতরে সঠিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়া যায় এমন । অনেক নতুন নতুন হেলমেট এবং অসাধারণ সব ডিজাইন এর হেলমেট বাংলাদেশের যেকোন বাইক এক্সেসরিজ এর দোকান এ গেলেই দেখতে পাবেন । ৫। মোটরসাইকেল এর জন্য ওয়াটারপ্রুফ বডি কভারঃ বৃষ্টির দিনে বাইক এর সুরক্ষার জন্য সবচাইতে উপযোগী হল এই বাইক কভার । অফিসের বাইরে বাইক রেখে কাজ করছেন ? হটাৎ করেই বৃষ্টি নেমে এসেছে ? কোন সমস্যাই হবেনা যদি আপনি কিনে নেন একটি বাইক কভার এবং সেটা দিয়ে আপনার বাইক ঢেকে রাখেন । এছাড়াও অতিরিক্ত রোদের তাপেও অনেক সময় বাইকের ফুয়েল ট্যাংক এর রং কিছুটা নস্ট হয়ে যায় এই কভার এই ধরণের সমস্যা থেকেও আপনাকে মুক্তি দিবে। ৬। ফ্ল্যাশিং এলইডি ফ্যাশ লাইটঃ আজকাল সবাই এই ধরণের লাইট বাইকের মাঝে ব্যবহার করছে অন্ধকারের মাঝে কিংবা আপনার হেডলাইট বিকল হয়ে গেলে কখনো এই লাইটগুলো অনেক কার্যকরী ভুমিকা পালন করে আপনার বাইক এর অবস্থা বোঝাবার জন্য । ৭। আলোর প্রয়োজন অনুভব করলে কিনে নিন গ্লোভ লাইটঃ নতুন প্রযুক্তির এই লাইট থাকে মোটরসাইকেল এর গ্লোভ এর মাঝে এবং যা পরে যাবার বা হারিয়ে যাবার ভয় নেই । তাই কখনো আলোর প্রয়োজন হলে আপনার একটা আঙুলের চাপই যথেষ্ট আলোর অভাব দূর করতে । ৮। এন্টি-রাস্ট এন্ড প্রোটেকশনঃ মোটরসাইকেল এর মেটাল বডির মাঝে বৃষ্টির প্রভাবে যেন কোন ক্ষতি না হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ যায়গায় যেন জং ধরে না যায় সে জন্য আপনি এই ধরণের এন্টি-রাস্ট স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন । আমার মতে এটি সকল মোটরসাইকেল আরোহীদের ব্যবহার করা উচিৎ যারা নিজের বাইকটি অনেক বেশি ভালোবাসেন । আশা করি আমাদের আজকের আলোচনা আপনাকে এই বর্ষার মাঝেও মোটরসাইকেল এর চালনা নিয়ে দুশ্চিন্তা কমাতে সহায়ক হবে এবং দুর্ঘটনার কবল থেকেও বাঁচাতে সাহায্য করবে ।

প্রডাক্টস সাজেশন