বৃষ্টিতে বাইক রাইডিং টিপস

শপিং কার্ট

অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা

সর্বমোটঃ

বাইক খুঁজুন

প্রডাক্ট ক্যাটাগরি

বৃষ্টিতে বাইক রাইডিং টিপস

2020 Jun 17 09:34:00
স্বাভাবিক আবহাওয়ার বাইক রাইডিং ও বৃষ্টিতে বাইক রাইডিং, দুটোর মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। স্বাভাবিক দিনগুলোর চেয়ে বৃষ্টির দিনে বাইক রাইডিং এর সময় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়। অনেকে তো আবার বৃষ্টিতে বাইক রাইডিং করতে পছন্দ করে। তবে যারা প্রয়োজনে বাইক চালান তারা একটু সচেতন হলেই বা কিছু নিয়ম মেনে চালালেই আপানার ভ্রমনও হবে আনন্দময়। #প্রি-রাইড চেক রাস্তায় নামার আগে বাইক পুরোপুরি ঠিক আছে কিনা তা একবার দেখে নিন। বাইকের বিশেষ বিশেষ অংশ যেমন, হেড লাইট, ইনডিকেটর লাইট, ব্রেক, টায়ার প্রেশার ইত্যাদি সব ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। বৃষ্টিতে বাইক চালানোর সময় বাইকের টায়ার প্রেশার কিছুটা কমিয়ে নিতে পারেন। এতে ভালো গ্রিপ পাওয়া যায়। #সঠিক রাইডিং গিয়ার নির্বাচন বৃষ্টিতে বাইক রাইড দেবার জন্য আপনার সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়জন তা হল একটি ভালো রেইন কোট। মোটামুটি ঘণ্টা খানিক প্রচন্ড বৃষ্টিতে আপনাকে শুকনো রাখবে এমন রেইন কোট নির্বাচন করতে হবে আপনাকে। সেইসাথে ফুল ফেইস হেলমেট, রেইন প্রটেক্টিভ গ্লাভস ও বুট জুতা হলে বেশি ভালো। মোটকথা কোন ভাবেই জেন বৃষ্টির পানি আপনার শরীর স্পর্শ করতে না পারে। #রাইডিং ধরনের পরিবর্তন স্বাভাবিক অবস্থায় আপনি যেভাবে বাইক রাইড করেন বৃষ্টিতে রাইড দেবার সময় একটু পরিবর্তন আনতে হবে। কারন বৃষ্টিতে ইমারজেন্সি ব্রেকিং, করনারিং ইত্যাদি একটু ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় স্কিড করে পড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। আর বৃষ্টিতে বাংলাদেশের রাস্তা সরু হয়ে পড়ে। এর জন্যও বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজনে। বৃষ্টিতে রাইডিং এর সময় বাইকের গতি নিয়ন্ত্রন, খুব বেশি করনারিং বা তাড়াহুড়া পরিহার করা প্রয়োজন। মনে রাখবেন যে কোন প্রকার এক্সিডেন্টই বড় ক্ষতি ডেকে আনে। #সঠিক রাস্তা নির্বাচন মোটামুটি আমরা সবাই খানা-খন্দকে বাইক চালিয়ে অভ্যস্ত। আর বৃষ্টি হলে এই খানা-খন্দক পানিতে ভরে যায়। অনেক সময় বোঝার উপায় থাকে না যে এর গভিরতা কতটুকু। প্রায়শই দেখা যায় অনেক বাইকার তাড়াহুড়া করতে গিয়ে গর্তে পড়ে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় জদি আপনি রাস্তার পানির অংশ টুকু পরিহার করতে পারেন। যদি যেতেই হয় তবে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে যাবেন না। #একসাথে অনেক গুলো কাজ থেকে বিরত থাকা স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা যে কাজ গুলো একসাথে করি যেমন এক্সেলারেশান, গিয়ার পরিবর্তন বা করনারিং এর সময় গিয়ার ও এক্সেলারেশান একসাথে নিয়ন্ত্রন বা ঢালে ওঠার সময়, এই কাজ গুলা একটু সময় নিয়ে করা নিরাপদ। করনারিং পরিহার সবচেয়ে নিরাপদ। হাতে সময় নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে চলালে এক্সিডেন্ট এড়িয়ে চলা সম্ভব, নতুবা দুর্ঘটনায় পড়ার ভয় রয়েছে। # রাইডিং গিয়ার গুলো শুকিয়ে নিন রাইড সম্পূর্ণ হলে আপনার রাইডিং গিয়ার গুলো যেমন, হেলমেট, রেইন কোট, গ্লাভস, বুট জুতা ইত্যাদি খুলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এমন যায়গায় রেখে দিন, যেন পরবর্তী রাইড দেবার সময় আপনি শুকনো পান। #বাইক ওয়াশ সবচেয়ে ভালো হয় রাইড দেবার পর পুরো বাইকটিকে ওয়াশ করে নেওয়া। তা না পারলে সামান্য পানি ঢেলে বাইকের ময়লা গুলো পরিষ্কার করে নিন। শুকিয়ে গেলে ওনেক চিপা যায়গার ময়লা পরিস্কার করা যায় না। এবার বাইকটিকে ডাবল স্ট্যান্ড করে চকচকে যায়গাগুল মুছে পরিষ্কার করে দিন। নয়তো পানি শুকিয়ে দাগ হয়ে যেতে পারে। এখানে আমারা মৌলিক কিছু টিপস শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আসোলে ঝুঁকি আছে এমন কাজের সচেতনতার শেষ নেই। সুতরাং আপনার সেরা প্রচেস্থাই নিরাপদ ভাবে ফিরিয়ে আনবে আপনার আপনজনের কাছে। [অনলাইন থেকে সংগৃহীত]

প্রডাক্টস সাজেশন