ইঞ্জিন ব্রেক

শপিং কার্ট

অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা

সর্বমোটঃ

বাইক খুঁজুন

প্রডাক্ট ক্যাটাগরি

ইঞ্জিন ব্রেক

2020 May 08 18:01:00
আমরা যারা মোটর সাইকেল ও বাইক নিয়ে রাত দিন মেতে থাকি তাদেরকে ইঞ্জিন ব্রেক বা ইঞ্জিন ব্রেকিং শব্দটা পরিচিত। কিন্তু তবুও অনেকেই সঠিকভাবে এই ইঞ্জিন ব্রেকিং সম্পর্কে জানে না। আমাদের আজকের আলোচনা ইঞ্জিন ব্রেকিং নিয়ে। এই আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসবে ইঞ্জিন ব্রেকিং সম্পর্কে বিস্তারিত। ইঞ্জিন ব্রেক কি? কোন ব্রেক ব্যবহার না করে মোটর সাইকেল বা বাইক চলন্ত অবস্থায় যদি ক্লাচ না টেনেই থ্রটল বা পিক আপ উল্টো দিকে ঘুরিয়ে একদম নরমাল অবস্থায় নিয়ে আসেন বা চলন্ত অবস্থায় ক্লাচ না চেপেই শুধু থ্রটল বা পিক আপ টা ঘুরানো ছেড়ে দিলেন আর তখন মোটর সাইকেল বা বাইক নিজে থেকেই থেমে যায় তবে সেই প্রক্রিয়াকেই বলা হয় ইঞ্জিন ব্রেক। ধরেন আপনি হাইওয়ে রাইড করছেন বা কোন কারনে আপনাকে লম্বা সময় ধরে রাইড করতে হচ্ছে। স্বভাবতই এই সময় আপনাকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইকের গতি বাড়াতে বা কমাতে হবে। খুব কম পরিস্থিতিই হয় যে আপনাকে বাইক একদম থামিয়ে ফেলতে হয়। এইসব পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ রাইডার যেটা করেন তা হল, ক্লাচ চেপে ধরে গিয়ার কমিয়ে ব্রেক প্রেস করেন বা ব্রেক করে গিয়ার কমান। ইঞ্জিন ব্রেকিং এর বিষয়টা যেটা হচ্ছে তা হল, যখন আপনার বাইকের গতি কমিয়ে ফেলতে হবে কিন্তু একবারে বাইক থামাবেন না যেমন, আপনার বাইকের গতি ৭০ থেকে ৩০-৩৫ এ নিয়ে আসতে হবে তখন ব্যবহার করবেন। তবে বাইক একবারে থামিয়ে ফেলতে হলে বা ইমারজেন্সি ব্রেকিং এর সময় অবশ্যই ক্লাচ ধরে ব্রেক করবেন। ইঞ্জিন ব্রেকিং এর মাধ্যমে বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ একটু অভিজ্ঞতা নির্ভর। যাদের কাছে এই বিষয়টি নতুন তারা হুট করে এর ব্যবহার করতে যাবেন না। নিরাপদ যায়গায় ভালো মত প্র্যাকটিস করে তারপর করবেন। এবার আসুন কিভাবে ইঞ্জিন ব্রেকিং করবেন সে সম্পর্কে যেনে নেই ইঞ্জিন ব্রেক করার জন্য প্রথমে বাইকের ক্লাচ না ধরে থ্রটল উলটা দিকে ঘুরিয়ে বাইকের এক্সেলারেশান কমিয়ে আনবেন এর পর আস্তে আস্তে পিছনের চাকার ব্রেক প্রেস করবেন। প্রয়োজনে সামনের ব্রেক বেবহার করবেন। এক্সেলাশান কমানো ও ব্রেক প্রেস করা এই দুটো কাজের মধ্য সমন্বয় আনতে হবে। প্রথমে এক্সেলারেশান কমাবেন তার পর পিছনের ব্রেক প্রেস করবেন। কাজ গুল আপনাকে কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে করতে হবে। অনেকটা বাইক স্টার্ট দেবার সময় আমরা যেভাবে ক্লাচ ও থ্রটল এর কম্বিনেশান করি। এই পদ্ধতিতে আপনাকে ক্লাচ চাপতে হবে না বা গিয়ার কমাতে হবে না। আবার যখন স্পিড বাড়াবার দরকার তখন থ্রটল ঘুরিয়ে স্পিড বাড়িয়ে নিবেন। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এই ভাবে ব্রেক করলে বাইকের ইঞ্জিনে কোন ক্ষতি হয় কিনা। না ইঞ্জিনে তেমন প্রেশার পড়ে না। বরং বার বার ক্লাচ চাপলে ও ঘন ঘন গিয়ার পরিবর্তন করলে যে পরিমান ইঞ্জিনের ক্ষতি হয় তার তুলনায় কিছুই না। তবে এর কিছু অসুবিধাও আছে, যেমন আপনি যদি থ্রটল আর ব্রেকের কম্বিনেশান ঘটাতে না পারেন তবে বাইক ধাক্কা খেয়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই যথাসম্ভব প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে প্রয়োগ করবেন। আজকের আলোচনা আমরা ইঞ্জিন ব্রেক সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এই আলোচনায় উঠে এলো ইঞ্জিন ব্রেকের শুরু থেকে শেষের ধাপ পর্যন্ত। এতদিন যাদের কাছে ইঞ্জিন ব্রেক কেবলই একটি নাম বা শব্দ ছিলো এই আলোচনার মাধ্যমে তারা এখন এর সম্পর্কে সব জানতে পারলেন। [অনলাইন থেকে সংগৃহীত]

প্রডাক্টস সাজেশন