বাংলাদেশে উচ্চ সিসি বাইক অনুমোদন
2023 Oct 21 15:49:00
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর
বাংলাদেশের রাস্তায় ৩৫০ সিসি
ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল
চলার অনুমোদন পাওয়া গেছে।
খবরটি নতুন নয়। গত
সেপ্টেম্বরে ৩৫০ সিসি
ইঞ্জিনের বাইক বাংলাদেশের
সরকে চলাচলের অনুমোতি দেয়
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর
আগে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড
ট্যারিফ কমিশনের শুপারিশে
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির
অনুমোতি দিয়েছিল।
এদেশের সড়কে এবারই যে প্রথম
উচ্চ সিসির বাইক চলার সুযোগ
পেয়েছে এমন কিন্তু নয়। এক সময়
বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের
ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির কোনো
জন্য কোনো সীমা নির্ধারিত
ছিল না। এরপর নিরাপত্তা
বিবেচনা করে বাইকের ইঞ্জিন
ক্যাপাসিটি ১৫৫ সিসি পর্যন্ত
বেঁধে দেওয়া হয়। এই অবস্থা
চলতে থাকে দীর্ঘ সময়। এরপর
২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে
মোটরসাইকেলের সিসি সীমা ১৬৫
সিসি পর্যন্ত উন্নীত হয়। তবে
পুলিশের ক্ষেত্রে তাঁদের
মোটরসাইকেলের বেলায় ইঞ্জিন
ক্যাপাসিটির কোনো
সীমাবদ্ধতা রাখা হয়নি।
বাইকারদের সবসময়ের
প্রত্যাশা ছিল সিসি সীমা
তুলে দেওয়া হোক। এই
প্রত্যাশা ততদিন পর্যন্ত
সাফল্যের সিড়িতে পা রাখতে
পারেনি যতদিন না মোটরসাইকেল
খাতের একটি সংগঠন ইঞ্জিন
ক্যাপাসিটির তুলে দেওয়ার
আবেদন জানায়। মোটরসাইকেল
ম্যানুফ্যাকচারার্স
অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স
অ্যাসোসিয়েশন ২০২১ সালে
বাইকের সিসি সীমা তুলে
দেওয়ার আবেদন করে। তারই
ফলশ্রুতিতে বাণিজ্য
মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে
প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে
দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ট্রেড
আন্ড ট্যারিফ কমিশন
(বিটিটিসি)-কে।
বিটিটিসি মোটরবাইকের ইঞ্জিন
ক্যাপাসিটি বা সিসি লিমিটি
তুলে দেওয়ার জন্য শুপারিশ
করে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এটি ২০২১ সালের কথা।
প্রতিবেদনে তাঁরা জানান
মোটরসাইকেলের সিসি'র সাথে
গতির সম্পর্ক নাই। বিশ্বের
কোনো দেশে মোটরসাইকেলের জন্য
সিসি সীমা নাই। একটি ১৬৫ সিসি
ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির বাইক ৩০০
সিসি বা ৫০০ সিসি
ইঞ্জিনযুক্ত বাইকের সমান গতি
তুলতে সক্ষম।
বাংলাদেশে ৫০০ সিসির বাইক
রপ্তানির সুযোগ ছিল। আবার
আমদানি নীতিতে ৫০০ সিসির
মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ
আমদানির বৈধতা ছিল। তবে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
অনুবমোদোন না থাকায় এদেশের
সড়কে ১৬৫ সিসির বেশি ইঞ্জিন
ক্ষমতার বাইক চলাচলের
অনুমোতি ছিল না। এখন গত
সেপ্টেম্বরে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় মোটরসাইকেলের
বেলায় ৩৫০ সিসি ইঞ্জিন
সক্ষমতার মোটর সাইকেল
বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলের
অনুমোদন দেওয়ায় বাইকারদের
আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হতে চলেছে।
এত কিছুর পরেও বাইকারদের আরো
কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
কিছু নিয়ম ও শর্ত রাখা হয়েছ
উচ্চ সিসি মোটরসাইকেলের
জন্য। প্রথমত পূর্ণ
অ্যাসেম্বল অবস্থায় কোনো
বাইক আমদানি করা যাবে না। এই
নিয়ম অধিক সিসি বাইকের জন্য।
এক্ষেত্রে বিযুক্ত (সিকেডি)
অবস্থায় আমদানি করে দেশে
সংযুক্ত করে বাজারজাত করতে
হবে। অপেক্ষার আরেকটি কারণ
হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই
সকল বাইকের বিভিন্ন
যন্ত্রাংশ আমদানি ও সংযোজনের
ব্যাপারে একটি নীতিমালা
প্রস্তত করবে। নীতিমালা
প্রণয়নের কাজ হয়ে গেলে আর
অপেক্ষা করা লাগবে না বলে আশা
করা যায়। ধারণা করা হচ্ছে
আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ
এই প্রতীক্ষার সময় দীর্ঘ হতে
পারে।