বাইক কেনার আগে যে বিষয়গুলো আপনার জানা প্রয়োজন
2019 Jul 02 05:50:00
আপনি হয়ত ছোট থেকে বড় হতে হতে
অনেক বাইকে চড়েছেন কিংবা
বর্তমানে রাইড শেয়ারিং
ট্রেণ্ডের সুবাদে অনেক বাইকে
চড়েছেন, কিন্তু আপনি যখন বাইক
কিনতে যাবেন তখন আপনাকে
অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় আনতে
হবে। নতুন বাইক কেনার
ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়
রয়েছে যা সম্পর্কে আপনার
ভালো জ্ঞান থাকা অপরিহার্য
এবং কিছু কিছু বিষয় বিবেচনা
কিংবা প্রয়োজনে
পুনঃবিবেচনায় আনতে হবে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের সবচেয়ে
ভালো ব্যাপার হলো এতে কিছুটা
সময় লেগে গেলেও যখন সব
প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আপনি
জেনে যাবেন তখন সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা সহজ হবে।
সুতরাং বাইক কেনার আগে যে
বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা
প্রয়োজন সেসব বিষয় সম্পর্কে
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য দেয়া হলো:
বাইকের একজন মালিক হিসেবে
আসল খরচ
আমরা বেশিরভাগ ক্রেতারাই
চিন্তা করি যে আমাদের
স্বপ্নের বাইক কেনার জন্য কি
পরিমাণ অর্থ আমরা জমাতে
পেরেছি বা কি পরিমাণ অর্থ
আমরা আমাদের পরিবার পরিজনদের
কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবো।
এর উপর ভিত্তি করেই আমরা
আমাদের বাজেট নির্ধারণ করি
এবং আমাদের পছন্দের বাইকটি
খুঁজতে বেরিয়ে যাই। কিন্তু
আমরা অন্যান্য আনুষাঙ্গিক
খরচ, যেমন – জ্বালানি খরচ,
ফুয়েল এফিসিয়েন্সি,
রেজিস্ট্রেশন, ইনস্যুরেন্স,
ইকুইপমেন্ট, মেইন্ট্যানেন্স
ইত্যাদি কথা মাথায় রাখি না।
একটি মোটরসাইকেল
ব্যবস্থাপনার খরচ একটি
ব্র্যান্ড নিউ মোটরসাইকেলের
বাজার মূল্য কিংবা একটি
সেকেন্ড হ্যান্ড মোটর
সাইকেলের দর কষাকষি করে
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক
বেশি। আরও জেনে নিন বর্তমানে
বাংলাদেশের সেরা ৫ টি
মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড
সম্পর্কে।
প্রথমত মোটরসাইকেলের ক্রয়
মূল্য একটি বিবেচ্য বিষয়।
বাজারে যেকোনো সময়ে আপনি
মোটর কিনতে গেলেই অনেক ধরণের
ভ্যারাইটি পাবেন। আপনার বাইক
কেনার মূল উদ্দেশ্যকে
বিবেচনা করে আপনি ১ লাখ থেকে
শুরু করে অনেক দামি
মোটরসাইকেল পাবেন। তবে নতুন
মডেলের ভালো মানের বাইক আপনি
সহজেই পাবেন ২ থেকে তিন লাখ
টাকায়।
বর্তমান বাজারের কিছু নতুন
এবং পুরাতন মোটরসাইকেলের দাম
যাচাই করতে লিঙ্কটিতে ক্লিক
করুন Bikroy.com.
আইনি খরচ
আপনার পছন্দের মোটরসাইকেলটি
কিনতে যাওয়ার আগে কিছু
আবশ্যক আইনি খরচের হিসাব
বিবেচনায় রাখবেন।
রেজিস্ট্রেশন একটি এক-কালীন
খরচ যা বেশ মোটা অঙ্কের। তারপ
আরও কিছু আনুষাঙ্গিক খরচ আসে
যেমন ধরুন ইনস্যুরেন্স।
সার্ভিসিং খরচ
ইকুইপমেন্ট এবং
রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত
খরচের খাতটি সবচেয়ে বেশি
গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমরা
বেশিরভাগ ক্রেতারাই এই
খরচগুলো বিবেচনায় রাখি না।
ছোট ছোট কিছু খরচ যেমন,
টায়ারের সার্ভিসিং, স্পার্ক
প্লাগ, বেল্ট, ইঞ্জিনের তেল,
ফিল্টার ইত্যাদি একটি বড়
অঙ্কের মাসিক বা বাৎসরিক খরচ
সৃষ্টি করে। যদিও এসব
পার্টসগুলোর
দীর্ঘস্থায়ীত্ব একেকটির
ক্ষেত্রে একেক রকম, সার্ভিস
সেন্টারে প্রতিবার ভিজিট
করলেই খরচ করতে হয়। আপনি যদি
সময়মত প্রয়োজনীয় সার্ভিসিং
না করান তবে দীর্ঘমেয়াদে
বাইকে আরও বড় ধরণের সমস্যা
দেখা দেয় যা আরও বেশি খরচের
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের
শহরে এবং শহরের বাইরে
রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে
বাইকের কিছু বিশেষ পার্টস
যেমন ব্রেইক শুজ, ইঞ্জিন অয়েল,
টায়ার ইত্যাদি সহজেই
ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং
প্রতিনিয়ত সার্ভিসিং করানোর
প্রয়োজন পরে।
আপনি যদি নিজেকে কেবল একজন
সাধারণ রাইডার হিসেবেও গণ্য
করেন তবে আপনার একটি গিয়ার,
একটি হেলমেট এবং শু লাগবে।
দাম যতই হোক, সেফটি গিয়ার
উপেক্ষা করা একদমই উচিত হবে
না এবং বাইক চালানোর সময় আমরা
অবশ্যই অতিরিক্ত সেফটি গিয়ার
নিয়ে রাস্তায় নামবো। চরম
আবহাওয়া যেমন গরম, সূর্যের
তাপ, বৃষ্টি, ধুলাবালি, ঝোড়ো
বাতাস ইত্যাদির হাত থেকে
নিজেকে রক্ষা করতে হলে
আপনাকে অবশ্যই একটি মোটরবাইক
জ্যাকেট সাথে রাখতে হবে।
পাশাপাশি আপনাকে বিবেচনায়
আনতে হবে যে আপনি কতক্ষণ বাইক
চালাবেন এবং সে অনুসারে
আপনার হাত, হাতের তালু, আঙুল
এবং এলবো রক্ষা করতে শকপ্রুফ
গ্লাভস পরতে হবে। আপনাকে যদি
ভাঙাচুরা রাস্তায় বাইক
চালাতে হয় তবে আপনাকে এলবো
এবং নি গার্ডস পরার বিষয়টি
বিবেচনায় আনতে হবে। আপনি
কখনই রাস্তায় শতভাগ নিরাপদ
থাকবেন বলে ভাবতে পারবেন না!