করোনা ভাইরাসঃ প্রয়োজন সচেতনতা
2020 Mar 21 09:28:00
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে
পৃথিবী বিপর্যস্ত। এই করোনা
ভাইরাস পরিবারে আরও ছয়টি
ভাইরাস রয়েছে।
তবে এখন যেটিতে মানুষ
সংক্রমিত হচ্ছে সেটি নতুন।
বেশিরভাগ করোনাভাইরাসই
বিপজ্জনক নয়, কিন্তু আগে
থেকে অপরিচিত এই নতুন
ভাইরাসটি ভাইরাল
নিউমোনিয়াকে
মহামারির দিকে ঠেলে দিতে
পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে এবং
অবশেষে এই রোগটির সংক্রমণ
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ায়
এটিকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণা
করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা।
জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ
শুরু হয়, এরপরে শুকনো কাশি
দেখা দিতে পারে। প্রায় এক
সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু
হয়ে যায়।
৫৬ হাজার আক্রান্ত রোগীর উপর
চালানো এক জরিপ নিয়ে বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার এক
পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে:
# এই রোগে ৬% কঠিনভাবে অসুস্থ
হয় - তাদের ফুসফুস বিকল
হওয়া, সেপটিক শক, অঙ্গ বৈকল্য
এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি
হয়।
# ১৪% এর মধ্যে তীব্রভাবে
উপসর্গ দেখা যায়। তাদের
মূলত শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা
তৈরি হয়।
# ৮০% এর মধ্যে হালকা উপসর্গ
দেখা যায় - জ্বর এবং কাশি
ছাড়াও কারো কারো
নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা
যেতে পারে।
বয়স্ক ব্যক্তি এবং যাদের
কোনো ধরণের অসুস্থতা রয়েছে
(অ্যাজমা, ডায়বেটিস, হৃদরোগ,
উচ্চ রক্তচাপ) তাদের
মারাত্মক অসুস্থ
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীন থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই
করে জানা যায় যে, এই রোগে
নারীদের চেয়ে পুরুষের
মৃত্যুর সম্ভাবনা সামান্য
বেশি।
আক্রান্ত ব্যক্তি যেন শ্বাস
প্রশ্বাসে সহায়তা পায় এবং
তার দেহের রোগ প্রতিরোধ
ব্যবস্থা যেন ভাইরাসের
মোকাবেলা করতে পারে তা
নিশ্চিত করা থাকে চিকিৎসকদের
উদ্দেশ্য।
সারা পৃথিবীজুড়েই
বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এর
চিকিৎসা উদ্ভাবনের কাজ
দ্রুততর করতে।
এই রোগ থেকে এখন পর্যন্ত
রক্ষার একমাত্র উপায় হলো
অন্যদের মধ্যে ভাইরাসের
সংক্রমণ হতে না দেয়া। যার
মানে হলো:
মানুষজনের চলাচল সীমিত করে
দেয়া। খুব জরুরী প্রয়োজন
ছাড়া জনসমাগম স্থানে যাওয়া
থেকে বিরত থাকা।
হাত ধুতে সবাইকে সবাইকে
উৎসাহিত করা। নাকে মুখে চোখে
হাত না দেওয়া। বাহির থেকে
ফিরে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে হাত
ধুয়ে
পরিস্কার হওয়া। ওজু করে দিনে
পাঁচবার নাময পড়লে দিনে
অন্তত পাঁচবার হাত ধোয়ার
কাজটি হয়। তাই ধর্মমুখী
হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা।
হাচি কাশি দেয়ার সময় টিস্যু
দিয়ে বা টিস্যু না থাকলে কনুই
দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন।
ব্যবহৃত টিস্যু ধ্বংস করে
ফেলুন যেন সংক্রমণের বিস্তার
না ঘটে।
স্বাস্থ্যকর্মীরা
প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে
রোগীদের আলাদা আলাদা করে
চিকিৎসা সেবা দেয়া।