ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর
2020 Mar 06 17:52:00
৫ম কিস্তি
৬১. প্রশ্নঃ জেব্রাক্রসিংয়ে
চালকের কর্তব্য কী ?
উত্তরঃ জেব্রাক্রসিংয়ে
পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে
দিতে হবে এবং পথচারী যখন
জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার
হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার
আগে থামাতে হবে।
জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর গাড়িকে
থামানো যাবে না বা রাখা যাবে
না।
৬২.প্রশ্নঃ কোন কোন গাড়িকে
ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে
?
উত্তরঃ যে-গাড়ির গতি বেশি,
এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার
সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি
সার্ভিস, ভিভিআইপি গাড়ি
ইত্যাদিকে।
৬৩. প্রশ্নঃ হেড লাইট
ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার
ব্যবহারের নিয়ম কী ?
উত্তরঃ শহরের মধ্যে সাধারণত
‘লো-বিম বা ডিপার বা মৃদুবিম’
ব্যবহার করা হয়। রাতে
কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে
অর্থাৎ বেশিদূর পর্যন্ত
দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের
বাইরের রাস্তায় ‘হাই বা আপার
বা তীক্ষ্ম বিম’ ব্যবহার করা
হয়। তবে, বিপরীতদিক থেকে আগত
গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে
আসলে হাইবিম নিভিয়ে লো-বিম
জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ
বিপরীতদিক হতে আগত কোনো
গাড়িকে পাস/পার হওয়ার সময়
লো-বিম জ্বালাতে হবে।
৬৪. প্রশ্নঃ গাড়ির ব্রেক ফেল
করলে করণীয় কী ?
উত্তরঃ গাড়ির ব্রেক ফেল করলে
প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে
পা সরিয়ে নিতে হবে।
ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির
ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে
প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে
প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে
হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক
কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি
থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার
আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত
বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে
ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে।
ঠেকানোর সময় যানমালের
ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় বা কম হয়
সেইদিকে সজাগ থাকতে হবে।
৬৫.প্রশ্নঃ গাড়ির চাকা ফেটে
গেলে করণীয় কী ?
উত্তরঃ গাড়ির চাকা ফেটে গেলে
গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
এই সময় গাড়ির চালককে
স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে
হবে এবং অ্যাক্সিলারেটর থেকে
পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি
কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে
গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত
অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে
গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন
না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন
হয়ে পড়ে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত
পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড
প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর
৬৬.প্রশ্নঃ হ্যাজার্ড বা
বিপদ সংকেত বাতি কী ?
উত্তরঃ প্রতিটি গাড়ির সামনে
ও পিছনে উভয়পাশের কর্ণারে
একজোড়া করে মোট দু-জোড়া
ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই
চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো
একসাথে জ্বললে এবং নিভলে
তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ
সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক
মুহূর্তে, গাড়ি বিকল হলে এবং
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই
বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।
৬৭. প্রশ্নঃ গাড়ির
ড্যাশবোর্ডে কী কী
ইন্সট্রুমেন্ট থাকে ?
উত্তরঃ ক. স্পিডোমিটার- গাড়ি
কত বেগে চলছে তা দেখায়।
খ. ওডোমিটার - তৈরির প্রথম
থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা
মাইল চলছে তা দেখায়।
গ. ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি
কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা
দেখায়।
ঘ. টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের
তাপমাত্রা দেখায়।
ঙ. ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের
পরিমাণ দেখায়।
৬৮.প্রশ্নঃ গাড়িতে কী কী লাইট
থাকে ?
উত্তরঃ ক. হেডলাইট, খ.
পার্কলাইট, গ. ব্রেকলাইট, ঘ.
রিভার্সলাইট ঙ.
ইন্ডিকেটরলাইট, চ. ফগলাইট এবং
ছ. নাম্বারপ্লেট লাইট।
৬৯.প্রশ্নঃ পাহাড়ি ও
ঢাল/চূড়ায় রাস্তায় গাড়ি কোন
গিয়ারে চালাতে হয় ?
উত্তরঃ ফার্স্ট গিয়ারে। কারণ
ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর
জন্য ইঞ্জিনের শক্তি বেশি
প্রয়োজন হয়।
৭০.প্রশ্নঃ গাড়ির সামনে ও
পিছনে লাল রঙের ইংরেজি “খ”
অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে
এরদ্বারা কী বুঝায় ?
উত্তরঃ এটি একটি শিক্ষানবিশ
ড্রাইভারচালিত গাড়ি। এই গাড়ি
হতে সাবধান থাকতে হবে।
৭১. প্রশ্নঃ শিক্ষানবিশ
ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি
চালানো বৈধ কী ?
উত্তরঃ ইনসট্রাক্টরের
উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম
(ডাবল স্টিয়ারিং ও ব্রেক)
সম্বলিত গাড়ি নিয়ে সামনে ও
পিছনে “খ” লেখা প্রদর্শন করে
নির্ধারিত এলাকায় চালানো
বৈধ।
৭২.প্রশ্নঃ ফোরহুইলড্রাইভ
গাড়ি বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ সাধারণত ইঞ্জিন হতে
গাড়ির পেছনের দু-চাকায়
পাওয়ার (ক্ষমতা) সরবরাহ হয়ে
থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে
যে-গাড়ির চারটি চাকায় (সামনের
ও পিছনের) পাওয়ার সরবরাহ করা
হয়, তাকে ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি
বলে।
৭৩.প্রশ্নঃ ফোরহুইলড্রাইভ
কখন প্রয়োগ করতে হয় ?
উত্তরঃ ভালো রাস্তাতে চলার
সময় শুধুমাত্র পেছনের
দু-চাকাতে ড্রাইভ দেওয়া হয়।
কিন্তু পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত
রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে
ড্রাইভ দিতে হয়।
৭৪. প্রশ্নঃ টুলবক্স কী ?
উত্তরঃ টুলবক্স হচ্ছে
যন্ত্রপাতির বাক্স, যা গাড়ির
সঙ্গে রাখা হয়। মোটরযান
জরুরি মেরামতের জন্য
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও
মালামাল টুলবক্সে রাখা হয়।
৭৫. প্রশ্নঃ ড্রাইভিং
লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালালে
বা চালানোর অনুমতি দিলে
শাস্তি কী ?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৪ মাস
কারাদণ্ড অথবা ৫০০ টাকা
পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড
(মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর
১৩৮ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক
ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে
পারেন।
৭৬. প্রশ্নঃ গাড়িতে গাড়িতে
নিষিদ্ধ হর্ন কিংবা উচ্চশব্দ
উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন ও
তা ব্যবহার করলে শাস্তি কী ?
উত্তরঃ ১০০ টাকা পর্যন্ত
জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ,
১৯৮৩ এর ১৩৯ ধারা)।
৭৭.প্রশ্নঃ রেজিস্ট্রেশন
সার্টিফিকেট, ফিটনেস
সার্টিফিকেট ও রুটপারমিট
ব্যতীত গাড়ি চালালে বা
চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি
কী?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের
জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাস
কারাদণ্ড অথবা ২০০০ টাকা
পর্যন্ত জরিমানা অথবা
উভয়দণ্ড। দ্বিতীয়বার বা
পরবর্তী সময়ের জন্য
সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড
অথবা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত
জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড
(মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর
১৫২ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক
ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে
পারেন ।
৭৮. প্রশ্নঃ মদ্যপ বা মাতাল
অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি
কী ?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৩ মাস
কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা
পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড।
পরবর্তী সময়ে প্রতিবারের
জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর
পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০০০
টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা
উভয়দণ্ড এবং নির্দিষ্ট
মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স
বাতিল (মোটরযান অধ্যাদেশ,
১৯৮৩ এর ১৪৪ ধারা)।
৭৯. প্রশ্নঃ নির্ধারিত গতির
চেয়ে অধিক বা দ্রুত গতিতে
গাড়ি চালনার শাস্তি কী ?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের
জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন
কারাদণ্ড বা ৩০০ টাকা
পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড।
পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে
সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা
৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা
উভয়দণ্ড এবং ড্রাইভিং
লাইসেন্সের কার্যকারিতা ১
মাসের জন্য স্থগিত (মোটরযান
অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪২ ধারা)।