টপিকঃ মোটরসাইকেল ম্যাকানিজম।

শপিং কার্ট

অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা

সর্বমোটঃ

বাইক খুঁজুন

প্রডাক্ট ক্যাটাগরি

টপিকঃ মোটরসাইকেল ম্যাকানিজম।

2019 Jul 06 06:10:00
আমরা যারা বাইকপ্রেমি তারা প্রায় সময় বিভিন্ন সাইটে বাইকের নানা ধরণের রিভিউ/আর্টিক্যাল দেখে থাকি। সেখানে ব্যাবহৃত অনেক শব্দের অর্থই হয়তো আমাদের অজানা থেকে যায়, যার ফলে আমরা হয়তো সময়ের স্রোতে প্রফেশনাল রাইডার হয়ে যাই কিন্তু আমাদের বাইক টা নিয়ে আমাদের জ্ঞানগর্ভ অনেক টাই খালি পরে থাকে। যদিও আমি কোনো এক্সপার্ট নই তবে হ্যাঁ বিভিন্ন সাইট থেকে ঘুরে আর সিনিয়র রাইডার থেকে পাওয়া জ্ঞান আর অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে আজ আমি এখানে বাইকের কিছু খুঁটিনাটি নিয়ে এলাম। #ফুয়েল_সিস্টেম: একটা বাইকের ইন্জিনে যেভাবে জ্বালানী মিশ্রণের প্রবাহ কন্ট্রোল করা হয় সেই সিস্টেমকে বাইকের ইন্জিনের ফুয়েল সিস্টেম বলে। এটা সাধারণত ২ রকম হয়। কার্বুরেটর ও ফুয়েল ইনজেকশন। ইন্জিনের দহনকক্ষে জ্বালানী মিশ্রণ ঢোকার সময় এটাকে কন্ট্রোল করার প্রয়োজন হয়। যেসব ইন্জিনের ফুয়েল ডেলিভারী সিস্টেম কার্বুরেটর সেখানে কার্বরেটর এর নাম ও সংখ্যা দ্বারা স্পেসিফিকেশন দেখানো হয়। আর ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম, ডিজিটাল ফুয়েল ইনজেকশন, প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন, ইলেকট্রনিক সিকুয়েশিয়াল পোর্ট ফুয়েল ইনজেকশন প্রভৃতি নামে ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেমকে বলা হয়। #ম্যাক্সিমাম_টর্ক: কোন বাইকের ইন্জিন প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ পরিমাণ ঘূর্ণণের জন্য যে পরিমাণ ঘূর্ণণ শক্তি ইন্জিন থেকে সরবরাহ করতে হয় তাকেই বাইকের ইন্জিনের ম্যাক্সিমাম টর্ক বলে। এটাকে revolutions per minute (RPM) ও বলা হয়। সহজ কথায় বলতে গেলে আপনি বাইকের এক্সেলেরেশনের জন্য থ্রোটল ধরণে বাইকটি যে পরিমাণ এক্সেলেরেট করতে পারে তাকেই বাইকের ম্যাক্সিমাম টর্ক বলা হয়। #ম্যাক্সিমাম_পাওয়ার: কোন বাইকের ইন্জিন দ্বারা কোন নির্দিষ্ট স্পীডে যে পরিমাণ হর্সপাওয়ার সরবরাহ করা হয় তাকেই বাইকের ম্যাক্সিমাম হর্সপাওয়ার বলে। এটা উপর বাইকের পারফরমেন্স অনেকাংশে নির্ভর করে । এটার জন্য একটা সূত্র আছে যেটা হল: Horsepower = Torque × RPM/5252 অতএব আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বাইকের হর্সপাওয়ার বাইকের ম্যাক্সিমাম টর্কের সাথেও জড়িত। #কমপ্রেশন_রেশিও: ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটা বাইকের ভালব পিষ্টন যখন নীচের দিকে সিলিন্ডারের একদম নিচে থাকে তখন ধরুণ আপনাকে সিলিন্ডাটি পূর্ণ করেত ১০০ সিসি জ্বালানী লাগতে পারে আবার যখন পিষ্টনটি একদম উপরে ওঠানো থাকে তখন আপনাকে সিলিন্ডারটি ফুল করতে ১০ সিসি জ্বালানী লাগতে পারে। এই ১০০: ১০ বা ১০: ১ ই হল বাইকের ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও। অর্থাৎ পিষ্টনের ২ টা অবস্থানের সময় যে পরিমাণ জ্বালানী সিলিন্ডার ফুল করতে প্রয়োজন হয় সেটাই ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও। এই কম্প্রে্শন রেশিও যত ভাল হয়, বাইকের পারফরমেন্স ততই ভাল হয় অবশ্য জ্বালানীও একটু বেশী লাগে। যেমন টা আমরা বলে থাকি যে একজন বাইকারের কাছে তার বাইক টা শুধু মাত্র একটি মেশিন নয় বরং একটি ইমোশন ও বটে। সে ক্ষেত্রে কোনো ইমোশন কে শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা টা মোটেও সহজ কিছু নয়, তবুও সামান্য কিছু চেষ্টা করলাম।

প্রডাক্টস সাজেশন