ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর
2020 Feb 29 09:27:00
১ম কিস্তি
০১. প্রশ্নঃ মোটরযান কাকে বলে
?
উত্তরঃ মোটরযান আইনে মোটরযান
অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান,
যার চালিকাশক্তি বাইরের বা
ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ
হয়ে থাকে।
০২. প্রশ্নঃ গাড়ি চালনার আগে
করণীয় কাজ কী কী ?
উত্তরঃ ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ
কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন
সার্টিফিকেট, ফিটনেস
সার্টিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন,
ড্রাইভিং লাইসেন্স,
ইনসিওরেন্স (বিমা)
সার্টিফিকেট, রুট পারমিট
ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা।
খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না
পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ
মতো নেওয়া।
গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে
পানি আছে কি না পরীক্ষা করা,
না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।
ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা
করা।
ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও
ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে
পরিমাণ মতো নেওয়া।
চ. মাস্টার সিলিন্ডারের
ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল
পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।
ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং
সিস্টেম, ব্যাটারি,
স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে
কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট
টাইট আছে কি না অর্থাৎ
সার্বিকভাবে মোটরযানটি
ত্র“টিমুক্ত আছে কি না
পরীক্ষা করা।
জ. ব্রেক ও ক্লাচের
কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।
ঝ. অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং
ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা।
ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের
বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার
কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার
চাকা) পরীক্ষা করা।
০৩. প্রশ্নঃ মোটরযানের
মেইনটেনেন্স বা
রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝায় ?
উত্তরঃ ত্রুটিমুক্ত অবস্থায়
একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন
সার্ভিস পাওয়ার জন্য
প্রতিদিন গাড়িতে যে-সমস্ত
মেরামত কাজ করা হয়, তাকে
মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।
০৪. প্রশ্ন : একটি মোটরযানে
প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স
করতে হয় ?
উত্তর ঃ ২ নং প্রশ্নের
উত্তরের খ থেকে ঞ পর্যন্ত।
০৫. প্রশ্ন : সার্ভিসিং বলতে
কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ মোটরযানের ইঞ্জিন ও
বিভিন্ন যন্ত্রাংশের
কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী
করার জন্য নির্দিষ্ট সময়
পরপর যে-কাজগুলো করা হয়, তাকে
সার্ভিসিং বলে।
০৬. প্রশ্নঃ গাড়ি
সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয়
?
উত্তরঃ ক. ইঞ্জিনের পুরাতন
লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন
লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল
দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল
দ্বারা ফ্লাশ করা।
খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি
ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও
ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার
করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি
দিয়ে পূর্ণ করা।
গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে
বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে
গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ
দেওয়া।
ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ
প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো
হাওয়া দেওয়া।
ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার,
ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার
পরিবর্তন করা।
০৭. প্রশ্নঃ গাড়ি চালনাকালে
কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে
রাখতে হয় ?
উত্তরঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স,
খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
(ব্লু-বুক), গ. ট্যাক্সটোকেন, ঘ.
ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট,
ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট
(মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুটপারমিট
(মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত
সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট
ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
০৮. প্রশ্নঃ রাস্তায় গাড়ির
কাগজপত্র কে কে চেক করতে
পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত
ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ
দেখাতে বাধ্য ?
উত্তরঃ সার্জেন্ট বা
সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন
পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান
পরিদর্শকসহ বিআরটিএর
কর্মকর্তা এবং
মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।
০৯. প্রশ্নঃ মোটরসাইকেলে
হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন
সম্পর্কে আইন কী ?
উত্তর ঃ মোটরসাইকেলে চালক
ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা
যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট
পরিধান করতে হবে (মোটরযান
অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।
১০. প্রশ্নঃ সড়ক দুর্ঘটনার
প্রধান কারণ কী কী?
উত্তরঃ ক. অত্যধিক
আত্মবিশ্বাস, খ.
মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি
চালানো, গ. অননুমোদিত
ওভারটেকিং এবং ঘ. অতিরিক্ত
যাত্রী ও মালামাল বহন।
১১. প্রশ্ন : গাড়ি দুর্ঘটনায়
পতিত হলে চালকের করনীয় কী ?
উত্তরঃ আহত ব্যক্তির
চিকিৎসা নিশ্চিত করা,
প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে
স্থানান্তর করা এবং ২৪
ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী
থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে
রিপোর্ট করা।
১২. প্রশ্ন : আইন অনুযায়ী
গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত ?
উত্তরঃ হালকা মোটরযান ও
মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল,
মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী
মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায়
সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং
মাঝারি বা ভারী মালবাহী
মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায়
সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।
১৩. প্রশ্নঃ মোটর ড্রাইভিং
লাইসেন্স কী ?
উত্তরঃ সর্বসাধারণের
ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান
চালানোর জন্য লাইসেন্স
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত
বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং
লাইসেন্স।
১৪. প্রশ্নঃ অপেশাদার
ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে-লাইসেন্স দিয়ে
একজন চালক কারো বেতনভোগী
কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল,
হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য
মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত)
চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার
ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
১৫. প্রশ্নঃ ড্রাইভিং
লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে
সর্বনিম্ন বয়স কত ?
উত্তরঃ পেশাদার চালকের
ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং
অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮
বছর।