অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা
বাইক কেবল শখের বাহনই নয়
বরং বর্তমান নগর জীবনে অতি
জরুরী পরিবহন। সেই অতি জরুরী
আবার শখের বাহনটির ঠিকঠাক
যত্ন না নিলে সেটি যে ভালো
পারফর্ম করবে না সেটাই
স্বাভাবিক। আর শখের বাইকটি
বিকল হয়ে গেলে সেটা যে কেমন
ভোগান্তি তা বাইকার মাত্রই
উপলব্ধি করেন।
বাইকের
যত্নে সবার প্রথম যে
ব্যাপারটি বেশি
গুরুত্বপূর্ন তা হলো বাইকের
ইঞ্জিন। কেননা বাইকের
ইঞ্জিনই হল বাইকের পাওয়ার
হাউজ। আর এই পাওয়ার হাউজ
ঠিকভাবে কাজ করবে কিনা তা
নির্ভর করে ইঞ্জিন অয়েলের
উপর। ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল
ব্যবহার বাইকের ইঞ্জিনের
জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।
সমস্যা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে ভেজাল ইঞ্জিন অয়েলে বাজার সয়লাব। তাই ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল চেনাটা খুব জরুরী। নকল বা ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল চেনার জন্য নীচে মাত্র ৩টি টিপস উল্লেখ করছি। ইন শা আল্লাহ এই টিপসগুলিই যথেষ্ট হবে ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল চেনার জন্য।
১। ইঞ্জিন অয়েলের রং পরীক্ষা করুন:
ইঞ্জিন অয়েল আসল না নকল তা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় এটি। ভেজাল ইঞ্জিন অয়েলের রং সাধারণত কম স্বচ্ছ হয়ে থেকে। জেনুইন ইঞ্জিন অয়েলের রং হবে স্বচ্ছ চকচকে। সেটি সোনালী বা লাল যে রং এর তেলই হোক না কেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের রঙ বিভিন্ন হয়ে থাকে। কোনটা হয়তো লাল আবার কোনটা হয়তো সোনালী। ভালোভাবে পরীক্ষা করার জন্য আপনি একটি পরিষ্কার স্বচ্ছ কাচের গ্লাস এ কিছুটা তেল ঢালুন। এবার উজ্জ্বল আলোয় চারদিক থেকে তেলটি চেক করুন। যদি আপনি একাধিক কালার বা শেড দেখতে পান তাহলে বুঝবেন তেলে সমস্যা আছে। যদি আপনি এই প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত হতে না পারেন তাহলে নীচের ২নং প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করুন।
২। ইঞ্জিন অয়েলের গন্ধ পরীক্ষা করুন
ভেজাল ইঞ্জিন অয়েলে কিছুটা ঝাঁঝালো বা পোড়া গন্ধ, বা দুর্গন্ধ টের পাওয়া যাবে। কখনো কখনো বোতল না খুলে বোতলের মুখের কাছে নাক লাগালেও গন্ধটা নাকে আসে। যদি এমন দুর্গন্ধ টের পান তাহলে বুঝে নিন তেলে ভেজাল আছে। এই তেল অবশ্যই ব্যবহার করবেন না। ভালো ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল ও জেনুন ইঞ্জিন অয়েলে অনেক সময় একটা মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায়। যেমন মটুল ফ্রান্স এর বোতলে নাক লাগালে হালকা একটা সুগন্ধ পাবেন। সাধারণত জেনুইন ইঞ্জিন অয়েলে এমনটা হয়ে থাকে। তেলের রং ও গন্ধ থেকেও যদি আপনি নিশ্চিত হতে না পারেন তাহলে নীচের ৩নং ধাপটি অনুসরণ করুন।
৩। বোতলের তলায় তলানি বা গাদ জমেছে কিনা তা পরীক্ষা করুন
ভেজাল ইঞ্জিন অয়েলের বোতলের তলায় তলানি জমবে। বোতল থেকে তেল ঢালার পর একটা কাঠির আগায় টিস্যু বা তুলা লাগিয়ে বোতলের ভিতরের দিকের তলাটা মুছে আনুন। এবার টিস্যু বা তুলাটা চেক করে দেখুন কোন গাদ বা তলানি রয়েছে কিনা। যদি গাদ বা তলানি থাকে তাহলেও বুঝবেন তেলটি নকল। নকল তেল কখনই ব্যবহার করবেন না। নকল তেল বাইকের জন্য ক্ষতিকর। ভেজাল তেল বাইকের কি কি ক্ষতি করতে পারে তা নীচে সংক্ষেপে উল্লেখ করছি।
ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারে কি কি সমস্যা হতে পারে?
প্রথমত ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল আপনার বাইকের পারফর্ম্যান্স কমিয়ে দিবে। শুধু তাই নয় এটি আপনার ইঞ্জিনকে সুরক্ষিত রাখার বদলে ইঞ্জিনের ক্ষতি করবে। ফলে আপনার ইঞ্জিনের ভিতরের যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হবে। ইঞ্জিন ওভার হিট হতে পারে যা ইঞ্জিনের জন্য ক্ষতিকর। যেহেতু ইঞ্জিনের পারফর্ম্যান্স কমে যাবে ফলে বাইকের জ্বালানী সাশ্রয়ী হবার বদলে বেশি জ্বালানী খরচ হবে। যা ইঞ্জিন ও অর্থ সবদিক দিয়েই ক্ষতিকর। ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল এমনকি আপনার বাইক ইঞ্জিনকে সিজ বা বিকল পর্যন্ত করে দিতে পারে। তাই অবশ্যই জেনুইন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন।
ভেজাল ইঞ্জিন অয়েল থেকে বাচার উপায়
ভালো ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন। বোতলের গায়ে জেনুইন ইঞ্জিন অয়েল চেনার জন্য যেসব স্টিকার, হলোগ্রাম, কিউআর কোড থাকার কথা সেসব আছে কিনা চেক করুন। আরও গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে অবশ্যই বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য দোকান বা অনলাইন শপ থেকে ইঞ্জিন অয়েল কিনুন। এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে বাইক বাজার হচ্ছে এমন এক বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য অনলাইন শপ।
বাইক বাজার
বাইক
বাজার ১০০% জেনুইন ও অফিসিয়াল
ইঞ্জিন অয়েল সেল করে থাকে।
বাইক বাজারে ইঞ্জিন অয়েলের
দাম খুবই সাশ্রয়ী। বাইক
বাজার থেকে আপনি চোখ বন্ধ করে
ইঞ্জিন অয়েল সহ বাইকের যে কোন
স্পেয়ার পার্টস, ইঞ্জিন
অয়েলসহ বাইকের যাবতীয়
এক্সেসরিজ কিনতে
পারেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে
অবশ্যই লাইক করতে ভুলবেন না।
আপনার রাইডিং হোক অসাধারণ ও
নিরাপদ।
আসসালামু
আলাইকুম।