খাটো বাইক চালকদের জন্য ৫টি টিপসঃ উচু এবং বড় মোটরসাইকেল চালানোর কৌশল

শপিং কার্ট

অর্ডারের জন্য নির্বাচিত পন্যের তালিকা

সর্বমোটঃ

বাইক খুঁজুন

প্রডাক্ট ক্যাটাগরি

খাটো বাইক চালকদের জন্য ৫টি টিপসঃ উচু এবং বড় মোটরসাইকেল চালানোর কৌশল

2020 Apr 14 08:22:00
মোটসাইকেল চালানোর জন্য কৌশল আপনার সাহস বাড়িয়ে তুলবে। কৌশল অবলম্বনে আমিও উপকার পেয়েছি। আমার উচ্চতা 5 ফুট 4 ইঞ্চি, যখন আমি জানতে পারলাম এই উচ্চতায় আমি যে কোন বাইক চালাতে পারবো, তখন আমি অনেক ধরনের বাইক চালিয়ে দেখলাম বাইক থামানো অবস্থায় মাটিতে শুধুমাত্র আমার দু পায়ের পাতা দিয়ে দাড়াতে পারি। এরপর সামান্য বামদিকে কাত করে শুধু বাম পায়ের উপর ভর দিলে সহজেই দাড়াতে পারি। আর এই পদ্ধতিটিই আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করব। আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনি উচু বাইক চালাবেন, এজন্য আপনার সাহস, আত্মবিশ্বাস এর প্রয়োজন। আমার কাজ হচ্ছে মোটরসাইকেল এর টেস্ট রাইডিং করা। আমি যেকোন সাইজের বাইক রাইড করতে সক্ষম। মোটরসাইকেল দাঁড়ানো অবস্থায় বামদিকে একটু বামদিকে কাত করে দাঁড়িয়ে থাকা যায়। উপরের ছবিতে দেখুন কিভাবে উচু মোটরসাইকেল এর ব্যালেন্স ঠিক রাখতে হয়। আপনি যদি স্পোর্টস ট্যুরিং মোটরসাইকেল হিসেবে বিএমডব্লিউ এস ১০০০ এক্সআর (BMW S 1000 XR) চালাতে চান, যার সিটের উচ্চতা ৩৩.১ ইঞ্চি। উপরের ছবিতে আমি এই বাইকটি ব্যবহার করেছি। অথবা, একটি ক্রুইসার চালাতে চান, তবে আপনি একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এখন আমি আপনাদের সাসপেনশন নিচু না করে কিভাবে উচু মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন। আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন যে, আপনি উচু বাইক চালাবেন এবং আপনি আপনার পায়ের পাতা দিয়ে বাইকে বসে মাটি স্পর্শ করতে পারেন, তবে আপনার প্রয়োজন শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস। আপনার আত্মবিশ্বাসই আপনাকে বাইক চালাতে সাহায্য করবে। তাই দেরি না করে দেখে নিন উচু বাইক চালানোর ৫টি টিপস। ১। ছোট বাইক যেখানে আপনি আপনার দু পা সমানভাবে মাটিতে রাখতে পারেন, এর মাধ্যমে বাইক চালানো প্র্যাক্টিস করুন এবং দক্ষতা অর্জন করুন। বাইক চালানো শুরু করুন ছোট, হালকা বাইক দিয়ে। অনেক সময় নতুন বাইক চালকরা তাদের পছন্দের বাইকটিই প্রথমে কিনতে চায়। ফলে সহজে তাদের পছন্দের হেভি বাইক ব্যালেন্স করতে পারে না, নতুন পদ্ধতির মতও কাত করতে পারে না। আপনার নিজস্ব সাইজ অনুযায়ী ছোট, হালকা বাইক নিন, নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন। নিয়মিত প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে আপনি মাস্টারিং মোটর স্কিল অর্জন করতে পারবেন। কিভাবে এক্সিলেরেট তারাতারি স্টপ করতে প্র্যাকটিস করুন। পাহাড়ি রাস্তায় বাইক চালানো প্র্যাকটিস করুন। দ্রুত বাইক থামানো প্র্যাকটিস করুন। বাইক পার্কিং করা যায় এমন স্থানে বাইক নিয়ে হাটার প্র্যাকটিস করুন। বাইক থামিয়ে বাম পা মাটিতে দিয়ে দাঁড়ানো প্র্যাকটিস করুন। বিভিন্ন ভাবে বাইক চালিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন যা আপনি হ্যান্ডেল করতে পারবেন। যখন আপনি ভাল ভাবে বাইক চালানোর দক্ষতা অর্জন করবেন, তখন আপনার পছন্দের বড় আকারের বাইক কিনুন। বাইক চালানোর দক্ষতা অর্জন করার পর আপনাকে দু মাটিতে রাখতে হবে না। আমি অনেক বাইক রাইডারকে দেখেছি, যারা মাটিতে ভালোভাবে পা-ই রাখে না। এটি আসলেই সম্ভব। ২। পার্কিং করা, বাইক থেকে পা নামানোর আগে প্ল্যান করুন বাইক পার্ক করার পুর্বে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেখানে বাইকটি পার্ক করবেন সে জায়গাটি সমতল কিনা? কোন গর্ত বা ঢালু আছে কিনা? ইউ টার্ন নেওয়ার মত পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা তা দেখে নিন। যদি জায়গাটি সমতল না হয়, তবে অন্য কোথাও চলে যান। যেখানে সমতল বা কোন গর্ত নেই সেখানে পার্ক করুন, যেন বাইক গড়িয়ে কোথাও চলে না যায়। পার্কিং এর জায়গা যদি একদিকে ঢালু থাকে, তাহলে উচু দিকে বাইক মুখ করে পার্ক করবেন। অবশ্যই বাইক থেকে যাওয়ার পুর্বে বাইকের গিয়ার এ রেখে যাবেন। তাহলে বাইক গড়িয়ে যাবে না। পার্কিং করার যায়গা সমতল হলে খুব ভালো হয়। কিন্তু আপনি কিছুক্ষন পরেই আবার বাইক চালানো শুরু করবেন। তাই বাইক নিয়ে বের হওয়ার রাস্তা ঠিক রাখতে হবে। এমন যায়গায় বাইক রাখুন যেন, আপনি বাইক পার্ক করার পর আপনার বাইকের সামনে অন্য কেউ বাইক রাখলেও যেন বাইক নিয়ে বের হওয়ার রাস্তা থাকে। ৩। বাইক নিয়ে হাটুনঃ মোটরসাইকেল এ বসে থেকে যদি দু পায়ে মাটি স্পর্শ করতে না পারেন, তবে বাইক নিয়ে বাইকের সাথে হাটুন। দুই হাত দিয়ে বাইকের গ্রিপ ভালোভাবে ধরুন এবং একপাশে একটু কাত করে বাইক নিয়ে হাটুন। হাটার পুর্বে আপনার মোটরসাইকেলের গিয়ার নিউট্রল করে নিন বা ক্লাচ ধরে বাইক নিয়ে হাটুন। আস্তে আস্তে বাইক নিয়ে হাটার সময় সামনের ফ্রন্ট ব্রেক ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতি প্রথমে আপনি ছোট বাইকে প্রয়োগ করা উচিত। তাহলে বুঝতে পারবেন বড় বাইকে কিভাবে এই পদ্ধতি কাজ করবে। ৪। দাঁড়ানো অবস্থায় বামদিকে কাত হয়ে থাকুনঃ আপনি যেসব জিনিস বহন করেন, সেসব নিয়ে বাইক চালিয়ে অভ্যাস তৈরি করুন। বাইক থামানোর সময় বাম পা নিচে নামিয়ে পাঁশে কাত হয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনি বাইকের পিছনের রেয়ার ব্রেক ব্যবহার করতে পারবেন এবং বাম পা নিচে নামিয়ে বাইক পুরোপুরি থামাতে পারবেন। আবার, বাইক থামানোর আপনি যদি দু পায়ের পাতা মাটিতে ফেলে দাড়াতে চান, তবে আপনাকে শুধুমাত্র ফ্রন্ট ব্রেক ব্যবহার করতে হবে। কেননা আপনি দুই পা-ই নিচে নামিয়েছেন। এই অবস্থায় অবশই মোটরসাইকেল এর হ্যান্ডেলবার সোজা রাখুন। নয়তবা, হ্যান্ডেলবার যে দিকে ঘুরানো থাকবে, বাইক নিয়ে আপনি সেইদিকে পড়ে যাবেন। ৫। বাইক নিয়ে কোথায় থামবেন, দেখে নিন। আমি একবার বাইক নিয়ে পড়ে গিয়াছিলাম। আমি এমন এক জায়গায় বাইক দাড় করিয়েছি, যেখানে আমার পা নামিয়ে নিচে নামিয়ে মাটি ধরতে পারিনি। এরপর আর কি, পড়ে গেলাম। আমি কোথায় বাইক দাড় করাচ্ছি তা খেয়াল করি নি। অনেক সময় রাস্তার মাঝে বা পার্ক করার স্থানে অল্প গর্তের মত কিছু জায়গা থাকে। যার মধ্যে বাইকের দুই চাকা রাস্তার মধ্যে থাকে, আপনি থাকেন মধ্যস্থানে। যেখানে কিছুটা গর্ত রয়েছে। এসব স্থানে বাইক দাড় করাবেন না। এতে ছোট দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, যা অস্বাভাবিক। সব সময় বাইক থামানোর পুর্বে লক্ষ রাখবেন আপনি কোথায় বাইক দাড় করাচ্ছেন। উপরের ছবির মত রাস্তার মধ্যে ঢালু এরিয়া বা গর্ত এর মধ্যে কখনো বাইক দাড় করাবেন না। যদি এমন হয় যে, আপনি ওই ঢালু এরিয়ার মধ্যেই বাইক দাড় করাতে হবে, তবে আপনি ছোট আকাড়ের বাইক ব্যবহার করুন। যদি রাস্তার মধ্যে ঢালু এরিয়া বা গর্ত বাম দিকে বেশি ঢালু থাকে, তবে কখনই আপনি বাইক বাম দিকে কাত করাবেন না। এতে আপনি বাইক সহ পড়ে যাবেন। এই অবস্থায় আপনাকে বাইক ডান দিকে কাত করতে হবে। এটা অনেকটা কঠিন। আপনার ডান পা স্টেডি রাহতে হবে। আপনাকে প্রথমে ডান পা দিয়ে রেয়ার ব্রেক ধরে বাইক থামানোর সাথেসাথেই ডান পা নিচে নামিয়ে বাইক দান দিকে কাত করতে হবে। এটি খুব কষ্টকর। তবে প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে আপনার কাছে সহজ হয়ে উঠবে। উপরে যা লিখেছি সব আমার অভিজ্ঞতা থেকে লিখলাম। আশা করি আপনাদের উপকার করবে। আর অবশ্যই মোটরসাইকেল চালানোর জন্য আপনাকে দুই পা মাটিতে সমান ভাবে রাখতে হবে না। বর্তমান সময়ের ইঞ্জিনিয়ার উন্নত ব্যালেন্সড মেশিন বাইকে প্রয়োগ করছে। সব ধরনের বাইক চালকদের জন্য বিভিন্ন সাইজের, স্টাইলের বাইক পাওয়া যায়। সুবিধা অনুযায়ী বাইক নিয়ে নিয়ে নিয়মিত প্র্যাকটিস করে ভালো দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন।

প্রডাক্টস সাজেশন